মুন্সীগঞ্জের কায়াতখালী গ্রামে মৌলবাদীরা আবার মাথা তুলেছে। হিজবুত তাহরির নামের অন্ধকারের দল এখন বলছে—
মেয়েরা বেশি পড়াশোনা করতে পারবে না,
পুরুষদের চার বিয়ে করতেই হবে,
গান-বাজনা করা যাবে না।
আমাদের একটাই জবাব—মিথ্যা ফতোয়া মানি না, গোঁড়ামি মানি না, বাংলাদেশ মৌলবাদীদের খপ্পরে যাবে না!
মেয়েদের শিক্ষা বন্ধ করার চক্রান্ত: মানবতাবিরোধী অপরাধ
যারা বলে মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারবে না, তারা আসলে চায় বাংলাদেশকে আবার অজ্ঞতার অন্ধকারে ঠেলে দিতে। মনে রেখো—মেয়েদের শিক্ষা রোধ করা মানে একটি জাতিকে ধ্বংস করা। এদের জায়গা সমাজে নয়, ইতিহাসের আবর্জনার স্তুপে।
চার বিয়ে বাধ্যতামূলক? ধর্মকে বিকৃত করার ষড়যন্ত্র
ইসলামের নামে তারা প্রতারণা করছে। চার বিয়ের অনুমতি আছে, কিন্তু কখনোই বাধ্যবাধকতা নেই। ন্যায়বিচারকে পাশ কাটিয়ে এই মৌলবাদীরা নারীকে শুধু ভোগের পণ্য বানাতে চাইছে। আমরা বলি—নারী কোনো ভোগ্যপণ্য নয়, নারী মানুষ—সমান অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার তার।
সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ মানে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
যারা গান, কবিতা, নাচ, শিল্পকে হারাম বলে, তারা সরাসরি বাংলাদেশের আত্মাকে অস্বীকার করছে। লালন, রবীন্দ্র, নজরুল, জসীম উদ্দীন—এসবই আমাদের রক্তে মিশে আছে। মৌলবাদীরা এই রক্ত শুকিয়ে দিতে চায়। কিন্তু আমরা বলি—সংস্কৃতি ছাড়া বাংলাদেশ নেই, মৌলবাদ ছাড়া বাংলাদেশ থাকবে।
আমাদের করণীয়: রুখে দাঁড়ানো
কায়াতখালী থেকে শুরু হওয়া এই বিষবাষ্প যদি আজ দমন না করি, কাল তা ছড়িয়ে পড়বে চারদিকে। তাই এখনই আমাদের সোচ্চার হতে হবে।
প্রতিটি মানুষকে বলতে হবে: মেয়েদের শিক্ষার অধিকার অক্ষুণ্ণ।
প্রতিটি পরিবারকে বলতে হবে: বিয়ের নামে নারীর ওপর জোরজবরদস্তি চলবে না।
প্রতিটি তরুণকে বলতে হবে: সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ফতোয়া মানি না, মানবতাবিরোধী ফতোয়া চাই না।
উপসংহার:
কায়াতখালীতে মৌলবাদীরা অন্ধকার নামাতে চাইছে। কিন্তু আমরা মুক্তিযুদ্ধের সন্তান, আমাদের চোখে আগুন আছে, কণ্ঠে বজ্র আছে।
আমরা শপথ করি—
বাংলাদেশকে অন্ধকারে ডুবতে দেব না।
নারীর শিক্ষা, স্বাধীনতা, সংস্কৃতি—এসবেই বাংলাদেশ বাঁচবে।
মৌলবাদ রুখো, বাংলাদেশ বাঁচাও!