সম্প্রতি মুন্সিগঞ্জে হিজবুত তাহরির কিছু মৌলবাদী নেতা নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে এক ধরণের ফতোয়া জারি করেছেন। তারা দাবি করছেন, মেয়েরা বেশি পড়াশোনা করতে পারবে না এবং তাদের স্বাধীনতা থাকা উচিত নয়। এমন উদ্ভট ও বিপরীতমুখী বক্তব্য কেবল নারীর অগ্রগতি থামায় না, বরং সমাজের উন্নয়নকেও ব্যাহত করে।
মৌলবাদী চিন্তাধারা সবসময় নারীর প্রতি অবমাননাকর এবং বৈজ্ঞানিক যুক্তি ও মানবিক মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে। তারা মেয়েদের স্বাধীনতা ও শিক্ষার প্রতি আতঙ্ক বা বিদ্বেষ প্রদর্শন করে, যেন নারীরা সমাজে শক্তিশালী ও স্বাবলম্বী না হয়। অথচ নারীর শিক্ষা শুধু তার ব্যক্তিগত উন্নয়ন নয়, পুরো সমাজের উন্নতির সোপান।
আমাদের মনে রাখতে হবে, যে সমাজে নারীরা শিক্ষিত ও স্বাধীন, সেই সমাজে অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক ন্যায় সব ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটে। নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে ফতোয়া দেওয়া মানে অন্ধকার যুগের সংস্কৃতিকে পুনঃপ্রবর্তন করা।
মৌলবাদীদের এই দৃষ্টিভঙ্গি কেবল ধর্মের নামে নারী নির্যাতনের উৎস। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাই নারীর শিক্ষাকে সমর্থন করে, তাকে অধিকার ও মর্যাদা দেয়। তাই আমাদের দায়িত্ব হলো এই ধরনের উগ্রধর্মী ফতোয়ার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা, নারীর শিক্ষা ও স্বাধীনতার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া।
মুন্সিগঞ্জের উদাহরণ আমাদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়—যে কোনো সমাজে নারীর শিক্ষার প্রতি আঘাত মানে মানবতার প্রতি আঘাত। এখনই সময় দাঁড়ানোর, সচেতন হওয়ার এবং শিক্ষার আলোকে অন্ধকারের বিরুদ্ধে জ্বালানোর।