মুন্সিগঞ্জে হিজবুত তাহরির কিছু নেতারা সম্প্রতি যে ফতোয়া জারি করেছে, তা শুধু অযৌক্তিক নয়—এটি সরাসরি নারীর অধিকার ও মানবিক মুক্তির ওপর আঘাত। তারা বলছে, মেয়েরা বেশি পড়াশোনা করবে না, পুরুষরা একাধিক বিবাহ করবে, নাচ-গান নিষিদ্ধ। এই ফতোয়া আমাদের সকলের জন্য লজ্জার বিষয়।
সাবধান! নারীর শিক্ষার অধিকার সীমিত করার চেষ্টা মানে অন্ধকারে আমাদের ভবিষ্যতকে ফেলে দেওয়া। আমরা কি এমন সমাজ চাই যেখানে মেয়েরা শিখবে না, তার স্বপ্নগুলো নষ্ট হবে? শিক্ষা বন্ধ করা মানে দেশের অগ্রগতির চাকা থামানো।
পুরুষদের একাধিক বিবাহ বাধ্য করার ফতোয়া মানে পুরুষতান্ত্রিক অন্যায়কে নিয়ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। আমরা কি দেখব এক সমাজ যেখানে নারী ও শিশুর অধিকার চূর্ণ হয়, পরিবার ভাঙে, এবং জোর করে পুরুষতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ চালু হয়?
আর নাচ-গান নিষিদ্ধের ডাক, সেটি আমাদের সংস্কৃতি, আনন্দ ও মানবিকতার ওপর আঘাত। এমন ফতোয়া মানে আমরা সবাইকে নীরব, বোরিং, বেদনাদায়ক জীবন যাপনের জন্য বাধ্য করছি। আমরা কি চাইলাম আমাদের সমাজকে অমানবিক করে তুলতে?
মোটা অক্ষরে বলছি—এগুলো আমাদের সমাজ ও নারীর জন্য মৃত্যুর ডাকে সমান। আমরা আরেকবার দাঁড়াতে পারব না। নারীর শিক্ষা, স্বাধীনতা, সংস্কৃতি—এগুলো আমাদের অধিকার, এগুলো রক্ষা করতে হবে।
মৌলবাদীরা চাইছে আমরা চুপ থাকি। আমরা চুপ থাকব না। আমরা বলব, প্রতিবাদ করব, এবং নিশ্চিত করব যে নারী শক্তিশালী, সমাজ মুক্ত এবং সংস্কৃতি বাঁচানো থাকবে।
যেখানে নারীর স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়, সেখানে সমাজও পতিত হয়। আমরা তা মানতে পারি না।