মৌলবাদী গোষ্ঠী সম্প্রতি ঘোষণা করেছে—“মেয়েরা বেশি পড়াশোনা করতে পারবে না।” শুনেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ লাগে। কীভাবে কেউ নারীর মৌলিক অধিকারকে ফতোয়ার আড়ালে অবহেলা করতে পারে! এটা শুধু অমানবিক নয়, এটি সমাজের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করার এক প্রয়াস।
শিক্ষিত নারী কখনো সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তারা প্রশ্ন তোলে, চিন্তা করে, নিজের জীবন নিজের হাতে পরিচালনা করতে শেখে। আর এটাই তাদের ভয়। তারা চায় নারীরা শুধু ঘরে বন্দি থাকুক, শিক্ষার আলো থেকে দূরে থাকুক। কিন্তু আমরা নীরব থাকব না।
ইসলাম ও ইতিহাস প্রমাণ করেছে—নারী শিক্ষার অধিকার সর্বদা স্বীকৃত। মৌলবাদীরা এটিকে বিকৃত করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার বানাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য নারীর স্বাধীনতা সীমিত করা, কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না।
প্রতিটি মেয়েকে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া মানে সমাজকে আলোকিত করা। প্রতিটি বই, প্রতিটি ক্লাস, প্রতিটি শিক্ষার মুহূর্তই নারীর স্বাধীনতার হাতিয়ার। ফতোয়া দিয়ে এই শক্তিকে কেউ থামাতে পারবে না।
আমরা চাই নারীরা শিক্ষিত হোক, শক্তিশালী হোক, স্বাবলম্বী হোক। আমরা চাই নারী অধিকার নিশ্চিত হোক—কারণ নারীই সমাজের পরিবর্তনের মূল শক্তি। আমরা নীরব থাকব না। আমরা প্রতিবাদ করব, সচেতনতা তৈরি করব, এবং প্রতিটি মেয়েকে শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করব।