মুন্সিগঞ্জের কায়ালখালীতে হিজবুত তাওহীদ প্রকাশ্যে ফতোয়া দিয়েছে—মেয়েরা নাকি “বেশি দূর” পড়াশোনা করতে পারবে না!
এ কেমন বর্বরতা? কোন সংবিধান, কোন আইন, কোন ধর্ম মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করতে বলে?
বাংলাদেশের সংবিধান নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে।
UNESCO বলছে, মাধ্যমিকে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের ভর্তি হার বেশি।
একজন শিক্ষিত মা তার সন্তানকেও শিক্ষিত করে তোলে—অর্থাৎ নারীশিক্ষা মানেই জাতির শক্তি।
তাহলে কেন এই ষড়যন্ত্র?
কারণ মৌলবাদীরা জানে, শিক্ষিত নারী মানেই প্রশ্ন করা, প্রতিবাদ করা, অন্যায় ভাঙা। তারা ভয় পায় অন্ধকার ভেদ করা আলোর শক্তিকে।
আমরা যদি আজ চুপ থাকি, কাল তারা বলবে—মেয়েরা অফিসে যেতে পারবে না, ভোট দিতে পারবে না, ঘর থেকেও বের হতে পারবে না। আফগানিস্তানের মতো অন্ধকার বাংলাদেশে চাপিয়ে দিতে দেবো?
এখন সময় প্রতিবাদের।
মেয়েরা ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে, বিজ্ঞানী হবে, লেখক হবে—এটাই বাংলাদেশ। মৌলবাদীরা সেটা মেনে নিতে পারুক বা না পারুক, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করার ফতোয়া আসলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বন্ধ করার ষড়যন্ত্র। তাই আওয়াজ তুলুন—নারীশিক্ষা রক্ষা করো, মৌলবাদ প্রতিরোধ করো!