মৌলবাদকে শুধু প্রতিহত নয়—মূল থেকে উৎপাটন করতে হবে!
মুন্সিগঞ্জের কায়ালখালীতে হিজবুত তাওহীদ ঘোষণা দিয়েছে মেয়েরা “বেশি দূর” পড়াশোনা করতে পারবে না। এ শুধু একটি ফতোয়া নয়—এটি গোটা জাতির অগ্রগতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা।
মৌলবাদীরা নারীর শিক্ষাকে ভয় পায়, কারণ শিক্ষিত নারী প্রশ্ন করে।
মৌলবাদীরা আলোর পথ বন্ধ করতে চায়, কারণ অন্ধকারেই তাদের অস্তিত্ব।
মৌলবাদীরা সংবিধানকে অমান্য করে, কারণ গণতন্ত্র মানে জবাবদিহি—যা তারা চায় না।
আমরা যদি শুধু প্রতিবাদে থেমে যাই, মৌলবাদ আবার মাথা তুলবে। তাই প্রয়োজন—
তাদের অবৈধ সংগঠনগুলো ভেঙে দেওয়া।
ফতোয়াবাজদের বিচারের আওতায় আনা।
শিক্ষা, সংস্কৃতি ও যুক্তিবাদী আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করা।
গ্রাম থেকে শহর—প্রতিটি স্তরে নারীশিক্ষার প্রসার নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশের সংবিধান নারী-পুরুষ সমতার কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অন্ধকার নয়—আলোর পথ দেখায়। মৌলবাদ সেই চেতনার শত্রু। তাই মৌলবাদের সঙ্গে আপস নয়—মূল থেকে উৎপাটনই একমাত্র পথ।
নারীর অধিকার মানে বাংলাদেশের অধিকার।
নারীশিক্ষা রক্ষা মানে ভবিষ্যৎ রক্ষা।
মৌলবাদকে নির্মূল করলেই আমরা এগিয়ে যাবো, আলোকিত বাংলাদেশ গড়বো।