মৌলবাদীরা প্রায়ই নারীর জীবনের প্রতি সীমাবদ্ধ নিয়ম আরোপ করে। তাদের দাবির মধ্যে দুইটি প্রায়শই আলোচ্য হয়: নারীকে চার বিয়ে করতে বাধ্য করা এবং মেয়েদের শিক্ষার সুযোগকে সীমিত করা। superficially এটি ধর্মীয় বিধি মনে হলেও, এর পিছনে সমাজ ও ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত নানা দিক লুকিয়ে আছে।
প্রথমত, চার বিয়ে সংক্রান্ত দাবি প্রায়শই পুরুষকেন্দ্রিক ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণের উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নারীর জীবন ও যৌন স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পুরুষগোষ্ঠী তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বজায় রাখে। একটি ‘ধার্মিক আইন’ বা নিয়মের আড়ালে তারা নারীর ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
দ্বিতীয়ত, মেয়েদের শিক্ষার বিরুদ্ধে মনোভাব মৌলবাদীদের জন্য একটি নিরাপদ নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার। শিক্ষিত নারী জ্ঞানসমৃদ্ধ, সচেতন ও স্বাধীন চিন্তাভাবনায় সমৃদ্ধ হয়। এমন নারীর ওপর সামাজিক ও ধর্মীয় চাপ কমে, এবং তারা নিজেদের অধিকার ও স্বাধীনতার দাবিতে সাহসী হয়। তাই মৌলবাদী সমাজের রক্ষণশীল শ্রেণি শিক্ষিত নারীর সম্ভাব্য স্বাধীনতা ও সমানাধিকারকে হুমকি মনে করে।
সংক্ষেপে, এই দাবিগুলো ‘ধর্মীয় বিধি’ বলে প্রচার করা হলেও মূলত তারা নারীর ক্ষমতা দমন ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার একটি কৌশল। আমাদের সমাজের প্রকৃত মুক্তি ও সমতার জন্য এই ধরনের মনোভাবের বিরুদ্ধে সচেতনতা ও শিক্ষার প্রসার অপরিহার্য।