Thu. Sep 11th, 2025

কয়েকদিন আগে জানা গেল, কিছু মৌলবাদী গোষ্ঠী মেয়েদের “বেশি পড়াশোনা করা যাবে না” এমন ফতোয়া জারি করেছে। শুনেই মনে হয়, কেমন অমানবিক। কীভাবে কেউ নারী শিক্ষার মৌলিক অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে? কিন্তু এর পেছনে যে উদ্দেশ্য কাজ করছে, তা স্পষ্ট: নারীর স্বাধীনতা ও শক্তিকে দমন করা।

শিক্ষিত নারী কখনো সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তারা প্রশ্ন করে, চিন্তা করে, সিদ্ধান্ত নেয়—এটাই তাদের শক্তি। আর তাদের শিক্ষাকে সীমিত করার চেষ্টা মানে সমাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। এটি এক প্রজন্মেরই নয়, পুরো সমাজের ক্ষতি।

মৌলবাদীরা ধর্মের আড়ালে মেয়েদের পড়াশোনাকে শৃঙ্খলে রাখতে চায়। অথচ ইতিহাস ও ধর্ম উভয়ই নারী শিক্ষার পক্ষে। কোরআন ও হাদিসে নারী শিক্ষার গুরুত্ব স্বীকৃত। তারা এটিকে বিকৃত করে নিজেদের শাসনের হাতিয়ার বানাচ্ছে।

আমার মতে, এমন ফতোয়া কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রতিটি মেয়ের শিক্ষা নিশ্চিত করা মানে সমাজকে আলোকিত করা, অন্ধবিশ্বাসকে পরাস্ত করা। আমরা চাই মেয়েরা শিক্ষিত, শক্তিশালী, স্বাবলম্বী হোক—যারা নিজেদের জীবন নিজেদের হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

শিক্ষা বন্ধ করা যায় না। বই, ক্লাস, পড়াশোনার প্রতিটি মুহূর্তই নারীর স্বাধীনতার হাতিয়ার। ফতোয়া দিয়ে এই শক্তিকে থামানো যাবে না। আমাদের দায়িত্ব হলো প্রতিবাদ করা, সচেতনতা তৈরি করা এবং প্রতিটি মেয়েকে শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা।